রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল নগরীর কাশিপুর এলাকার এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমি অবৈধ ভাবে দখল করে আধিপত্য বিস্তার করার চেস্টা চালোনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৯নং ওয়ার্ড কাশিপুরের শাহ পরাণ সড়কের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত মুজাহার আলী মোল্লা’র পুত্র মোঃ নূরে আলম রুবেল বলেন,আমি দীর্ঘদিন প্রবাসী জীবনযাপন করে বাংলাদেশে এসে আমার ফুপু মোসাম্মৎ রোকেয়া বেগমের কাছ থেকে ২০১৮ সালের ২৮মে বরিশাল সদর জেএল ১৩নং ইছাকাঠি মৌজার এস এ ৫১-৫২ নং খতিয়ানের বর্তমান নতুন সৃজিত এস এ ১৮৮০ নং খতিয়ানের ৪.২ শতাংশ জমি আট লক্ষ টাকা দাম ধরিয়া ক্রয় করার জন্য নগদ এক লক্ষ টাকা প্রদান করে তাদের সাথে একটি বায়না চুক্তি করি।
এছাড়াও এস এ ১২৫৮ নং দাগের বিএস হাল ৮৯২৩ নং দাগের ২ শতাংশ জমি বর্তমানে ভোগ দখলে রয়েছে। কিন্তু আমার ফুপু ও তার স্বামীসহ তাদের সকল ওয়ারিশগনের সম্মিলিত প্রস্তাবে ২০১৪ সালের ২৪শে জুন তাদের ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া ২একর ৫শতাংশ জমির সকল কাগজপত্র ঠিক করিয়ে বিক্রির উদ্দ্যেশ্যে ২৮নং ওয়ার্ডের মৃত ইসরাইল শিকদারের পুত্র এস এম জুবায়ের মোরশেদ,মৃত হাসান আলী মোল্লার পুত্র লিয়াকত আলী মোল্লা, আব্দুল মতিনের পুত্র সাইফুল ইসলাম,এস এম মুশফিকুর হাসানের স্ত্রী সানজিদা আক্তার ও মৃত নাসির আহমেদের পুত্র আ,ন,ম শহিদুল ইসলামের কাছে সমস্ত জমির দায়িত্ব বা ক্ষমতা অর্পণের জন্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বা আমমোক্তারনামা প্রদান করেন।
এদিকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেয়ার ক্ষেত্রে মূল ওয়ারিশদের সাথে বেশ কয়েকটি শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছিলো। যাহার প্রধান শর্ত ছিলো জমির মুল ওয়ারিশদের জমি বুঝাইয়া না দেয়া পর্যন্ত আমমোক্তারগণের কোনো সদস্য বিক্রি করতে পারবেনা।কিন্তু মোক্তার প্রতারণামূলকভাবে জমির মালিকদের অজান্তেই ২০২১ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি ৪শতাংশ জমি বিক্রি করে।যাহার দলিল নং ২৩৪৩। তিনি বলেন,এই জমি বীরোধের বিষয়ে কে বা কারা এয়ারপোর্ট থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) হালিমা খাতুন ও এ এস আই জামাল। গতকাল আমার দোকানে এসে সালিশি মীমাংসার জন্য চাপ প্রয়োগ করে।কিন্তু সালিশিতে বসতে হলে আমার দুইটি কাগজের প্রয়োজন যা আদালত থেকে উঠাতে হবে।আর সেকারণে আমি তাদের কাছে কয়েকদিনের সময় চেয়ে অনুরোধ করলে এ এস আই জামাল ক্ষিপ্ত হয়ে চেঁচামেচি শুরু করে। একপর্যায়ে তিনি দাম্ভিকতার সাথে বলতে শুরু করে ঐ জমি কিভাবে আপনি ভোগ করেন তা আমি দেখে নিব।
এছাড়াও তিনি আমার প্রতিপক্ষ নুরুল ইসলামকে ঐ জমিতে দাঁড়িয়ে থেকে ঘর তুলে দেয়ার কথাও বলেন তিনি। যদিও বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবী করেছেন অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য।ভুক্তভুগি নূরে আলম রুবেল আরো বলেন,আমরা আমাদের পরিবার নিয়ে সেই জমি দখলে থাকা সত্বেও তারা আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন। ভূমিদস্যূরা নিজেদেরকে অনেক বেশি শক্তিশালী মনে করে।আমারা এ ব্যাপারে বিভিন্ন সময় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন সমাধান পাইনি।মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে অসহায় ভুক্তভুগি নূরে আলম রুবেলের দাবী অতি দ্রুত যেন বিষয়টি বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাদ সাদিক আব্দুল্লাহ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার সহ উর্দ্বতন কতৃপক্ষ নজর দিয়ে আমাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে সাহায্য করেন।
Leave a Reply